রবিউল ইসলাম সোহেল: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আরকে এগ্রো ফার্মে ব্রাহমা জাতের হামজা নামের একটি গরুর দাম চাওয়া হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। সম্প্রতি আরকে এগ্রোর ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ‘ব্রাহমা হামজা, দাম ৫০ লক্ষ টাকা। মাশাআল্লাহ, দেশের সবচেয়ে সুদর্শন ষাঁড়।’ জানা যায়, প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আরকে এগ্রো ফার্মে বিভিন্ন প্রজাতির গরু, ছাগল, দুম্বা উঠানো হয়। এবারও ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন প্রজাতির বিভিন্ন কোরবানির পশু আনছেন তারা।
উল্লেখ্য দিন দিন দেশে ব্রাহমা গরু জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ হিসেবে খামারি এবং ক্রেতারা বলছে, এই গরুর উচ্চ তাপমাত্রয়া সহনশীলতা আছে, দীর্ঘ জীবন লাভ করে এবং ক্রস-ব্রিডিংয়ে উচ্চফলন দেয়। সাধারণত একটি পূর্ণবয়স্ক ব্রাহমা জাতের ষাঁড়ের ওজন ৮০০ কেজি থেকে ১০০০ কেজির বেশি হতে পারে, তীব্র গরমে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় ব্রাহমা গরু সুস্থ-স্বাভাবিক থাকতে পারে। সাধারণত একটি ব্রাহমা গরু ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরো দীর্ঘ জীবন পাওয়ার নজির আছে।
এছাড়া উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল হবার কারণে ব্রাহমা জাতের গরুর রোগবালাই অনেক কম হয়। ব্রাহমা গরু দেখতে অনেকটাই দেশি গরুর মতো, কিন্তু আকৃতিতে বেশ বড় হয়। এই গরুর মাংসের স্বাদ দেশি গরুর মতো। এর গায়ে চর্বি কম হয়, যে কারণে পুষ্টিগুণ বেশি। প্রাণী পুষ্টি ও জেনেটিক্স বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাহমা গরুর আদি নিবাস ছিল ভারতে। কিন্তু বর্তমানে যেসব ব্রাহমা গরু বাংলাদেশ, ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায় সেগুলো মূলত ব্রাহমার সিমেন বা শুক্রাণু দিয়ে কৃত্রিম পদ্ধতিতে জন্ম নেয়া শংকর জাতের গরু।