সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান গত ১৫ দিনে মন্ত্রিসভার কয়েকটি বৈঠক ও কূটনীতিক দিক দিয়ে উঁচু পর্যায়ের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন এবং তার হাত থেকে বেশকিছু অর্থনৈতিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের দৈনিক গার্ডিয়ান পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।
পত্রিকায় এ খবর প্রকাশের পর নতুন করে সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ আলে সৌদ ও যুবরাজ বিন সালমানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
গত ১৮ মার্চ প্রকাশিত গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত সপ্তাহের গোড়ার দিকে কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় রাজা সালমান তার ছেলের ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন। এছাড়া, বিন সালমান সর্বশেষ দুটি ক্যাবিনেট মিটিংয়ে অনুপস্থিত ছিলেন এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভসহ সৌদি সফরে যাওয়া কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন নি।
ল্যাভরভের সঙ্গে যুবরাজের বৈঠক অনুষ্ঠিত না হওয়ার বিষয়টি রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া, বিন সালমান কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের অর্থ বিষয়ক কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না, রাজা ও গ্র্যান্ড মুফতির মধ্যকার বৈঠকেও তিনি যোগ দেন নি। এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র প্রধান, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী এবং চীন ও ভারতের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে যোগ দেয়া ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোনো সংবাদ সম্মেলন কিংবা ফটোসেশনে যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান অংশ নেন নি।
সৌদি রয়্যাল কোর্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখেন এমন এক কর্মকর্তা বলেছেন, যুবরাজকে কোথাও দেখতে না পাওয়া বিরাট আশ্চর্যের বিষয়। রাজা সালমান যুবরাজকে একটি বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা বললেও তিনি তাতে যোগ দেন নি। যুবরাজের প্রতি রাজা সালমানের অসন্তুষ্টির কারণে এসব হচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া, সৌদি আরবে যেসব বিনিয়োগ হবে তা দেখভাল করার জন্য রাজার উপদেষ্টা মুসায়েদ আল-আয়বানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগে যুবরাজ নিজেই বিষয়টি দেখতেন।
তথ্যসূত্র: গার্ডিয়ান