রবিউল: ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (বিডব্লিউএবি)-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি কাজী মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাতের জন্য গভর্নরের নেওয়া সাম্প্রতিক গৃহীত পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা ও সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে এ বিষয়ে গত ১৬/০৯/২০২১ইং তারিখে জারি করা BRPD সার্কুলার নং ২১-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত সার্কুলার অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলোকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গভর্নরের প্রতি অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক (পিসিবি) এবং এনবিএফআই-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আরও কিছু সুপারিশ গভর্নরের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হয়।
সুপারিশসমূহ হলো: (১) যৌক্তিকভাবে সকল ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফআইগুলোতে অভিন্ন পদবী থাকা উচিত। যেমন অফিসার, সিনিয়র অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার, সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার, সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। (২) কর্মকর্তাদের বিদ্যমান সুবিধা (বেতন ও ভাতা) কমানো উচিত নয়। (৩) সকল কর্মকর্তাকে বার্ষিক সাধারণ ইনক্রিমেন্ট দেয়া উচিৎ। যোগ্য কর্মকর্তাদের বিশেষ ইনক্রিমেন্ট বিবেচনা করতে হবে। (৪) কোনো বৈষম্য ছাড়াই ব্যাংক এবং এনবিএফআই-এর বাৎসরিক মুনাফার ভিত্তিতে অবস্থান অনুযায়ী সকল অফিসারকে ইনসেনটিভ বোনাস বিতরণ করা উচিত। (৫) সকল ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফআইগুলোতে অফিসারদের পদোন্নতি সর্বোচ্চ প্রতি তিন বছরে বিবেচনা করা উচিত এবং যোগ্য কর্মকর্তাদের প্রতি দুই বছরে দ্রুত পদোন্নতির বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত। (৬) অফিসারদের পদোন্নতির জন্য ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত নয়। তবে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাকে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া যেতে পারে। (৭) সকল কর্মকর্তাকে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।